আলমডাঙ্গায় এক বছরের শিশু সন্তান নিখোঁজ
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা ঘোষবিলা গ্রামে সাঈদ হোসেন নামের (১) এক শিশু সন্তান নিখোঁজ হয়েছে। শিশু সন্তান নিখোজের ঘটনায় ফুফুর বিরুদ্ধে তাকে চুরি করে অন্যত্র বিত্রি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে । এ ঘটনায় শিশুর দাদা আকরাম হোসেন বাদি হয়ে আলমডাঙ্গা থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। ঘোষবিলা গ্রামের লাঁল মাহমুদের ছেলে নিখোঁজ শিশু সাঈদ হোসেন।
গতকাল শুক্রবার দুপুরে শিশু সাঈদ বাড়িতে খেলা করছিলো। দাদা আকরাম হোসেন ও ছেলে লাঁল মাহমুদ জুম্মার নামাজ পড়তে মসজিদে যান । এ সময় শিশুটির ফুফু রুপা খাতুন গোপনে বাড়িতে পৌঁছে শিশু সন্তান সাঈদকে চুরি করে নিয়ে যায়। দীর্ঘ সময় শিশুটিকে না দেখতে পেয়ে তার মাসহ স্বজনরা চারিদিকে খোঁজাখুঁজি করেও তাকে আর পাওয়া যায়নি।
স্থানীয়রা জানান, শিশু সাঈদকে তার ফুফু রুপা নিয়ে গিয়েছে । শিশু সাঈদের দাদা আকরাম হোসেন বলেন, গত কয়েক দিন আগে রুপা আমাকে একটি শিশু বাচ্চা বিক্রির জন্য জানায়। আমি তাকে বকাবকি করি। সে মানসিক ভারসাম্যহীন হওয়ায় তার কথা আমলে নেইনি।
গতকাল শুক্রবার দুপুরে আমার নাতি ছেলে সাঈদকে গোপনে নিয়ে যায়। যাবার সময় স্থানীয় লোকজন দেখতে পায়। পরে, রুপা ও শিশুকে খোঁজাখুঁজি করলেও কোন সন্ধান পায়নি। শুক্রবার দুপুরে রুপার বিরুদ্ধে আলমডাঙ্গা থানায় অভিযোগ দিয়েছি। থানাপুলিশ ও জামজামি ফাঁড়িপুলিশ অভিযান চালিয়ে ইবি থানাধীন ঝাউদিয়া মাঝপাড়া থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে রুপা শিশু সাঈদকে ঝাউদিয়া গ্রামের মিনহাজ উদ্দিনের মেয়ে অন্তরার নিকট দিয়েছে বলে স্বীকারোক্তি দেয় । শিশু সাঈদকে উদ্ধার সহ অন্তরাকে আটকে পুলিশের পৃথক টিম অভিযান চালাচ্ছে।
শিশু সন্তান নিখোঁজর বিষয়ে আলমডাঙ্গা থানার ওসি শেখ গণি মিয়ার সাথে মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে ফোনটি বন্ধ ছিলো। এছাড়াও সংবাদটি লেখাপর্যন্ত শিশু উদ্ধারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত ছিলো।