আলমডাঙ্গায় ব্যায়ামাগার উদ্ধারে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল শেষে স্মারকলিপি প্রদান
আলমডাঙ্গার ভূমিদস্যু জাকারিয়া হিরোর কবল থেকে ঐতিহাসিক 'আলমডাঙ্গা ব্যায়ামাগার' উদ্ধার করতে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও স্মারকলিপি প্রদান করেছে ব্যায়ামাগার উদ্ধার কমিটি। ১৫ অক্টোবর মঙ্গলবার বেলা ১১ টায় আলমডাঙ্গা হাই রোডের আলিফ উদ্দীন মোড়ে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা ভূমিদস্যু হিরোর রাহুগ্রাস থেকে আলমডাঙ্গার সার্বজনীন ব্যায়ামাগার পুনরুদ্ধারের জন্য দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। ৪৪ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত এই ব্যায়ামাগার খুলনা বিভাগে ক্রীড়া জগতে এক অনন্য সংগঠন হিসেবে পরিচিত। ব্যায়ামাগারের সদস্যরা খুলনা বিভাগের হয়ে ৬ বার স্বর্ণপদক অর্জন করেছে।
১৯৮৫ সালে ব্যায়ামাগারের নামে জমি রেজিস্ট্রি করা হয় এবং সেখানে একতলা পাকা বিল্ডিং নির্মাণ করা হয়, যার জন্য সরকারিভাবে একাধিকবার আর্থিক সহায়তা পাওয়া যায়। তবে, পরে ভূমিদস্যু হিরো কিছু স্থানীয় নেতাদের সহযোগিতায় ব্যায়ামাগারটি দখল করে এবং বিল্ডিং ভেঙে ৬ তলা নির্মাণ করে। তিনি ৪ লক্ষাধিক টাকার গাছও বিক্রি করে নিয়েছেন।
বক্তারা বলেন, আলমডাঙ্গাবাসীর গর্ব ও সম্পদ এই ব্যায়ামাগার। তারা প্রশাসনের জরুরি পদক্ষেপ প্রত্যাশা করেন। যদি প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা না নেয়, তবে আলমডাঙ্গাবাসী নিজেদের উদ্যোগে ব্যায়ামাগার পুনরুদ্ধার করবে।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ইকবাল হোসেন, মহিউদ্দিন, ফজলুল হক শামীম, রহমান মুকুল, হাজী খোঃ এ কে. আজাদ, হাবিবুল করিম, আনোয়ার হোসেন জালালসহ অনেক prominent ব্যক্তি এবং শতাধিক ছাত্র-জনতা।
বক্তারা আরও অভিযোগ করেন, জাকারিয়া ইসলাম হিরো ৪৪ বছর আগে ব্যায়ামাগারের জমি ভুয়া কাগজপত্র তৈরির মাধ্যমে দখল করেন। তার বিরুদ্ধে আলমডাঙ্গা সরকারি কলেজের জমি এবং কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের জমিও দখল করার অভিযোগ রয়েছে। আলমডাঙ্গাবাসীর প্রতিবাদের কারণে হিরো বাধ্য হয়ে সরকারি কলেজ ও শহীদ মিনারের জমি ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছিল।
মানববন্ধনের শেষে আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ মেহেদী ইসলামের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
