আলমডাঙ্গার পরিবার কল্যাণ সহকারী তৌহিদাকে নিয়ে বিতর্ক
আলমডাঙ্গা উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের পরিবার কল্যাণ সহকারী তৌহিদা খাতুনের বয়স নিয়ে নানান বিতর্ক উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে, তিনি চাকরি পাওয়ার জন্য তার বয়স কমিয়ে আবেদন করেছেন, যা নিয়ে এলাকায় তুমুল আলোচনা শুরু হয়েছে।
তৌহিদা খাতুনের জন্ম তারিখ অনুযায়ী, তার বয়স ৩৮ বছর এবং তার ছেলে ১৯৯৫ সালে জন্মগ্রহণ করেছেন, যার ফলে মা ও ছেলের বয়সের পার্থক্য মাত্র ৯ বছর। তবে তৌহিদার দাবি, তিনি এই বয়সের গড়মিল সম্পর্কে জানতেন না এবং দাবি করেন, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার সময় তার বয়স কমিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
তৌহিদার জাতীয় পরিচয়পত্র ও ভোটার তালিকা অনুসারে, তার জন্ম তারিখ ১৯৮৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর এবং তার পেশা গৃহিনী। একই সঙ্গে, তার স্বামী খলিলুর রহমান আলমডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হিসাবরক্ষক হিসেবে কর্মরত।
স্থানীয় পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের কর্মকর্তাদের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা চলছে। কেউ কেউ বলছেন, তৌহিদা খাতুনের বয়সের সঠিক তথ্য বের করতে হলে সঠিক তদন্ত প্রয়োজন। তাদের দাবি, চাকরি নেওয়ার জন্য বয়স কমানোর ঘটনায় যদি সত্যিই কোনো অনিয়ম ঘটে থাকে, তবে তার বিচার হওয়া উচিত।
তৌহিদা খাতুনের অভিযোগ, তিনি ২০০০ সালে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস নাইনে ভর্তি হন এবং ২০০৩ সালে সেখান থেকে পাস করেন। তিনি বলেন, “আমার বয়স কমিয়ে দেওয়া হয়েছিল, আমি এ বিষয়ে কিছু জানি না।”
তৌহিদার স্বামী খলিলুর রহমানও জানান, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার সময় সাধারণত শিক্ষার্থীরা বয়স কমিয়ে ভর্তি হয়, এবং এটি সেই সময়ের একটি প্রচলিত রীতি ছিল।
এ বিষয়ে এলাকাবাসী ও কর্মকর্তাদের মধ্যে আলোচনা চলমান, এবং বিষয়টি নিয়ে সঠিক তদন্তের দাবি উঠছে।