আলমডাঙ্গায় যৌতুকের দাবিতে নির্যাতনের অভিযোগ!
আলমডাঙ্গা স্টেশনপাড়ায় যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে আটকে রেখে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারীর বোন আলমডাঙ্গা থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগে জানা যায়, আলমডাঙ্গা স্টেশনপাড়ার ইউনুচ আলীর ছেলে সুমন গত ৬ মাস আগে বন্ডবিল গ্রামের আহমেদ আলীর মেয়ে রত্না খাতুনকে তুলে এনে বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকে রত্না খাতুনকে তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে নিষেধ করা হয়। তবে মাঝে মাঝে মোবাইল ফোনে কথা বলার সুযোগ পেতেন। হঠাৎ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে, ২৪ সেপ্টেম্বর রত্নার বড় বোন রিক্তা খাতুন তার পরিবারের লোকজন নিয়ে সুমনের বাড়িতে যান। সেখানে সুমন ও তার মা সুফিয়া খাতুন অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে তাদের তাড়িয়ে দেন এবং ৬ লাখ টাকা নিয়ে আসার জন্য হুমকি দেন।
এরপর, ২ অক্টোবর বিকেলে আলমডাঙ্গা বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে উপজেলা পরিষদের মধ্যে সুমন ও তার বন্ধু রিপন আলী রিক্তা খাতুনকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন।
রিক্তা খাতুন বলেন, “আমার বোনকে জোর করে বিয়ে করা হয়েছে। আমরা মেনে নিয়েছি, কিন্তু তারা আমাদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ রাখতে দেয় না। আমরা তাদের বাড়িতে গেলে গালিগালাজ করে তাড়িয়ে দেয় এবং ৬ লাখ টাকা নিয়ে আসার জন্য চাপ দেয়। ২ অক্টোবর আমার ওপর শারীরিক আক্রমণ হয়েছে।”
এ বিষয়ে আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ গণি মিয়া জানান, “অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু করেছি এবং আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
এই ঘটনায় এলাকার নারীদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিয়ে আরও আলোচনা প্রয়োজন বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।