আলমডাঙ্গার সাতকপাটে সড়কে গাছ ফেলে ডাকাতি!
আলমডাঙ্গা উপজেলার হাউসপুর এলাকার সাতকপাটে সড়কে গাছের গুড়ি ফেলে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। বুধবার রাত ৩টা থেকে ভোর পর্যন্ত ডাকাতদল সড়কে গাড়ি থামিয়ে তাণ্ডব চালায়।
ঢাকা থেকে আসা যাত্রী, হাসপাতালে নেওয়া রোগীর স্বজন ও জরুরি কাজে বের হওয়া পথচারীদের বেধড়ক পিটিয়ে নগদ অর্থ ও স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নেয় ডাকাতরা। ভুক্তভোগীরা মনে করছেন, গত দুই মাস ধরে পুলিশের নিরবতার কারণে ডাকাতরা এই তাণ্ডব চালানোর সাহস পেয়েছে।
ভুক্তভোগীরা জানান, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৩টা থেকে ভোর পর্যন্ত ডাকাতদল আটকপাট এলাকায় অবস্থান করে। তারা একটি মেহগনি গাছ কেটে সড়কে ব্যারিকেট দেয়। ভোররাত পর্যন্ত সড়ক ধরে চলাচলকারীরা ডাকাতদের কবলে পড়ে সর্বস্ব হারান।
রাত সাড়ে ৩টার দিকে প্রথম ডাকাতির শিকার হন বেলগাছি গ্রামের মৃত খোকা মন্ডলের ছেলে তাসমান। তার গর্ভবতী মেয়ে সুলতানার প্রসব বেদনা ওঠায় তিনি প্রতিবেশী হাসানের ভ্যানে করে আলমডাঙ্গার ক্লিনিকে যাচ্ছিলেন। আটকপাট এলাকায় পৌঁছালে ডাকাতদের কবলে পড়েন। ডাকাতরা তাসমান ও ভ্যানচালক হাসানকে বেদম পিটিয়ে তাদের কাছে থাকা টাকা কেড়ে নেয় এবং তাসমানের স্ত্রীর কানের ও হাতের গয়না ছিনিয়ে নিয়ে তাদের ছেড়ে দেয়।
এরপর রাত সাড়ে ৪টার দিকে পাঁচলিয়া গ্রামের বকুল হোসেনের ছেলে বেলাল ডাকাতদের কবলে পড়েন। তিনি গভীর রাতে ট্রেন থেকে নামার পর ভ্যানে করে বাড়ি ফিরছিলেন। আটকপাট এলাকায় পৌঁছালে ডাকাতরা প্রথমে বেলাল ও ভ্যানচালককে মারপিট করতে শুরু করে এবং পরে বেলালের মুখ গামছা দিয়ে বেঁধে ফেলে।
সর্বশেষ হাউসপুর গ্রামের কশাই শরিফুল ইসলাম ডাকাতদের কবলে পড়েন। তিনি ভোরে আসাদুল নামের একজনের ভ্যানে করে বেলগাছি যাচ্ছিলেন গরু কিনতে। তাকেও মারধর করে নগদ টাকা কেড়ে নেওয়া হয়। এরপর সকাল হলে ডাকাতরা এলাকা ত্যাগ করে এবং আলমডাঙ্গা-বেলগাছি সড়কে প্রায় ৩ ঘণ্টা ধরে চলা ডাকাতির তাণ্ডব শেষ হয়।
এ ব্যাপারে থানার ওসি (তদন্ত) আবু সাঈদ জানান, ডাকাতির ঘটনায় এখনও ভুক্তভোগী কেউ থানায় অভিযোগ দেয়নি।