আলমডাঙ্গা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ভাঙচুর ও দখল: প্রতিবাদে ছাত্র-জনতা
আলমডাঙ্গা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সীমানা প্রাচীরের দুটি পিলার ভেঙে রড কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে, আলমডাঙ্গা পাইলট সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সঙ্গে মাঠ উদ্ধারের আন্দোলনকারীদের এক মতবিনিময় সভায় এই ঘটনার নিন্দা জানানো হয়েছে।
সম্প্রতি, শহীদ মিনারের পূর্ব দিকের প্রাচীরের নির্মাণাধীন দুটি বিমের রড কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের তীর জাকারিয়া হিরোর দিকে, যিনি স্থানীয় ব্রাইট মডেল স্কুলের মালিক।
গত ২১ অক্টোবর পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত এই সভায় জানানো হয়, আলমডাঙ্গা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের জমি পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের। তবে, হিরো সেখানে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ জমি দখল করে রেখেছেন। এর ফলে ছাত্র-জনতা ও সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে এবং তারা দখলকৃত জমি উদ্ধারের দাবিতে সোচ্চার হয়ে উঠেছেন।
অভিযোগ রয়েছে, আলমডাঙ্গা শহরে হিরোর অপকর্মের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গিয়ে বার বার প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হতে হচ্ছে আন্দোলনকারীদের। তাদের দাবি, শহীদ মিনারের মাঠের পবিত্র জমি অবৈধ দখলদারদের হাত থেকে রক্ষা করতে হবে।
স্থানীয় ছাত্র-জনতা এবং শিক্ষকদের মধ্যে একত্রিত হয়ে প্রাচীর নির্মাণের কাজে আবারও হাত দেন। সম্প্রতি, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশনায় সীমানা প্রাচীর নির্মাণের কাজ শুরু হলেও, হিরো বাধা দিতে চেষ্টা করেন। এর পর ছাত্র-জনতার প্রতিবাদ এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সমর্থনে হিরো পিছু হটেন।
উল্লেখ্য, জাকারিয়া হিরো বিভিন্ন সময়ে প্রশাসনকে ম্যানেজ করে অবৈধ দখলদারির কাজ করে আসছেন। সম্প্রতি রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর, ছাত্র-জনতা শহীদ মিনারের সীমানা প্রাচীর নির্মাণে আরও সক্রিয় হয়ে উঠেছে এবং তারা প্রতিজ্ঞা করেছেন, শহীদ মিনারের জমি এক ইঞ্চি অবৈধ দখলদারদের হাতে পড়তে দেবেন না।
এ অবস্থায়, আন্দোলনকারীরা বিভিন্ন দাবি ও শ্লোগানে শহরে ফুঁসে উঠেছেন এবং তারা দৃঢ়ভাবে তাদের অবস্থান রাখতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।