আলমডাঙ্গা শহরে অবৈধ দখল ও পার্কিং উচ্ছেদ অভিযান শুরু
আলমডাঙ্গা পৌরসভা ও স্থানীয় জনতার উদ্যোগে শহরের ফুটপথ ও সড়কে চলমান অবৈধ দখল এবং পার্কিং উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছে। ২১ নভেম্বর বৃহস্পতিবার বিকেলে আলমডাঙ্গা থানা থেকে হাজী মোড় পর্যন্ত ঘণ্টাব্যাপী এই অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন আলমডাঙ্গা পৌর প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মেহেদী ইসলাম।
অভিযানের খবর পেয়ে শহরের ফুটপথে অবৈধভাবে ব্যবসা করা দোকানদাররা দ্রুত তাদের মালামাল সরিয়ে নেন। এ সময় ফুটপথে পার্ক করা মোটরসাইকেলগুলোও সরিয়ে নেওয়া হয়। অভিযানকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মেহেদী ইসলাম ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে বলেন, "ফুটপথ দখল করে ব্যবসা পরিচালনা বা মালামাল রাখলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ফুটপথে মোটরসাইকেল পার্কিংও সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ।"
তিনি আরও জানান, "প্রতিদিন সকাল থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত শহরের ভেতরে কোনো ভারী যানবাহন প্রবেশ করতে পারবে না এবং ওই সময়ের মধ্যে মালামাল ওঠানামাও নিষিদ্ধ করা হয়েছে।" এছাড়া, ফুটপথে দোকানের সামনের সেড নির্মাণ করে দখলদারিত্ব বজায় রাখা ব্যবসায়ীদের দ্রুত সেড অপসারণের নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
শহরের সৌন্দর্য ও পথচারীদের চলাচলের সুবিধার জন্য পৌরসভা কর্মকর্তারা সড়কের দুই পাশের ডেকে রাখা মাটি অপসারণের কাজ আগামী শনিবার থেকে শুরু করার নির্দেশনা দেন।
অভিযানে স্থানান্তর করা হবে ফুটপথে অবস্থান করা ভ্রাম্যমাণ স্ট্রিট ফুডের দোকানগুলোকে, এবং আগামী ৩-৪ দিনের মধ্যে এসব দোকান সরিয়ে নেওয়া হবে।
স্থানীয় জনসাধারণ ও ব্যবসায়ীদের সহযোগিতায় এই অভিযান আরও কার্যকরভাবে পরিচালিত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। তিনি আরও বলেন, "প্রথম দিন সতর্কতা অবলম্বন করা হলেও পরবর্তী সময়ে নিয়ম লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।"
এই অভিযানকে ঘিরে স্থানীয় জনতা ও পথচারীদের মধ্যে স্বস্তি বিরাজ করছে। অভিযানে উপস্থিত ছিলেন আলমডাঙ্গা পৌরসভার স্যানিটারি ইন্সপেক্টর মাহফুজুর রহমান রানা, বণিক সমিতির সভাপতি আরেফিন মিয়া মিলন, এরশাদপুর একাডেমির প্রধান শিক্ষক ফজলুল হক শামীম, হাবিবুল করীম চঞ্চল, এমদাদ হোসেনসহ পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।