চুয়াডাঙ্গা-১ ও ২ আসনে ভোটের খরচ যোগাতে না পেরে বর্জনের সিদ্ধান্ত
চুয়াডাঙ্গা-১ ও ২ আসনের জাতীয় পার্টির দুই প্রার্থী নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন। গতকাল বুধবার দুপুরে জেলা আইনজীবী সমিতি কার্যালয়ে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে জাতীয় পার্টি মনোনীত লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী অ্যাড. সোহরাব হোসেন ও চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের প্রার্থী অ্যাড. রবিউল ইসলাম সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন বর্জন করেন।
তাঁরা বলেন আমরা দলীয় দলীয় সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছি, ‘দলের চেয়ারম্যান ও মহাসচিব নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়ে একের পর এক সিদ্ধান্ত পরিবর্তন এবং প্রার্থীদের সাথে বৈরিতা, অসহযোগিতা ও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রাখার কারণে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘এবারের ভোট কেমন হচ্ছে, তা তো জানছেন। আমাদের পার্টির চেয়ারম্যান আর মহাসচিব আমাদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করেন না। কেবল মনোনয়ন দিয়েই ছেড়ে দিয়েছেন। দল থেকে নির্বাচনের জন্য একটি টাকাও দেয়নি। আমি ২০০১ সাল থেকে নির্বাচন করেছি। আমি বলতে পারি, আমি দলকে টাকা দিয়েছি, দল আমাকে টাকা দেয়নি। তারা যে ২৬ জন আছে, সেটা নিয়েই ব্যস্ত। আর আমরা ২৫৭ জন পড়েছি মহাবিপদে। এবারের ভোট অন্য রকম। টাকা ছাড়া কেউ কথা বলছে না। দৈনিক কোটি কোটি টাকা ওড়াচ্ছে নৌকা ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। সেখানে আমার যতটুকু ছিল খরচ করেছি। এখন আর পারছি না। তাই সরে দাঁড়ালাম।’
প্রার্থীরা আরও বলেন, ‘ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কাছ থেকে তারা ইচ্ছামতো সুবিধা নিয়ে জাতীয় পার্টির প্রার্থীদের ভোটারদের কাছে হেয় প্রতিপন্ন ও নিন্দিত করছে। একইসাথে অর্থনৈতিক দূরাবস্থার ও কেন্দ্র নেতাদের অসহযোগিতার কারণে বাধ্য হয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালাম।’ সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে জাপা প্রার্থী অ্যাড. সোহরাব হোসেন বলেন, ‘জাতীয় পার্টির ভোটারদের কোনো বিধিনিষেধ নেই। তারা পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেন। জাপার প্রার্থীদের ভোট বর্জনের ঘটনা নির্বাচনে কোনো প্রভাব পড়বে না।’
সংবাদ সম্মেলনে জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী রবিউল ইসলাম বলেন, ‘দলের সহযোগিতা আমরা আশা করেছিলাম। কিন্তু তারা কোনো প্রকার যোগাযোগ বা সহযোগিতা করেনি। সে জন্যই আমরা নির্বাচন থেকে পিছিয়ে গেলাম।’ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জেলা জাতীয় পার্টির সিনিয়র সহসভাপতি শাহাবুদ্দিন বিশ্বাস খোকন, জীবননগর উপজেলা সহসভাপতি হানেহারসহ জাতীয় পার্টির নেতৃবৃন্দ।