চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার খামারে ডাকাতি!
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বদরগঞ্জ মর্তুজাপুরে একটি খামার থেকে চারটি গরু ও চারটি ছাগল ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। গত মঙ্গলবার রাতের একটি ঘটনায়, আলতাব হোসেনের এমইপি ব্রিকস ইটভাটায় সঙ্গবদ্ধ ডাকাতদল হানা দেয়। এ সময় নৈশপ্রহরী মাকসেদ আলীকে দেশীয় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে চোখ-মুখ ও হাত-পা বেঁধে পাশের বাগানে ফেলে রাখা হয়। ডাকাতি হওয়া চারটি গরু ও চারটি ছাগলের মোট মূল্য আনুমানিক ৭ লাখ টাকা বলে দাবি করেছেন খামার মালিক আলতাব হোসেন।
বুধবার রাতে আলতাব হোসেন খামারের গরু ও ছাগল দেখতে গিয়ে জানতে পারেন যে, রাত ১টার দিকে ৪-৫ জন অস্ত্রধারী নৈশপ্রহীকে জিম্মি করে খামার থেকে গরু ও ছাগল নিয়ে গেছে। তাদের মধ্যে দুটি গাভী এবং দুটি ষাঁড় ছিল, যার মূল্য সাড়ে ৫ লাখ টাকার মতো। ডাকাতরা একটি ছাগল নিয়ে যেতে না পারলে, সেটি জবাই করে ফেলে রাখে।
নৈশপ্রহী মোকসেদ আলী জানান, তিনি দীর্ঘ ছয় মাস ধরে সেখানে কাজ করছেন। ঘটনার রাতে তিনি ঘুমিয়ে ছিলেন। অস্ত্রধারীরা তাকে ভয় দেখিয়ে বাঁধন দিয়ে পাশের বাগানে নিয়ে যায়। তিনি আরও জানান, সেখানে ১০-১৫ জন ডাকাত ছিল, যারা গরু ও ছাগল নিয়ে গেছে। পরে ডাকাতরা তার বাঁধন খুলে দিয়ে চলে যায়।
এ ঘটনায় ইটভাটায় কর্মরত মহিলা শ্রমিক ছবিরন, তার মেয়ে বিলকিস ও নাতনী রোকসনা অভিযোগ করেন যে, তাদেরও ডাকাতদের হাতে জিম্মি করা হয়েছিল। ঘটনার খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনিসুজ্জামান লালন, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ ফেরদৌস ও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ সেকেন্দার আলী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং সন্দেহভাজন এক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
সদর থানার অফিসার ইনচার্জ সেকেন্দার আলী জানান, এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে এবং তারা তদন্ত করছেন। তিনি আশা প্রকাশ করেছেন যে, দ্রুতই অপরাধীদের গ্রেপ্তার করা হবে।