জলাতঙ্ক প্রতিষেধক সংকটে বিপাকে চুয়াডাঙ্গা জেলার রোগীরা
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে গত এক সপ্তাহ ধরে জলাতঙ্ক রোগের প্রতিষেধকের সংকট দেখা দিয়েছে, যা আহত ব্যক্তিদের জন্য মারাত্মক সমস্যার সৃষ্টি করছে। কুকুর, শিয়াল, বিড়ালসহ বিভিন্ন প্রাণীর কামড়ে আহত অনেক রোগী এই কারণে বিপাকে পড়েছেন। জেলার বাইরে ফার্মেসীতেও প্রতিষেধকটির সরবরাহ নেই। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দ্রুত চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহের জন্য প্রক্রিয়া চলছে এবং শিগগিরই প্রতিষেধক পাওয়া যাবে।
হাসপাতালে এক তরুণী, সুমনা রায়, যিনি সম্প্রতি এইচএসসি পরীক্ষায় সফল হয়েছেন, তিনি গত শুক্রবার পায়ে কুকুরের কামড়ে আক্রান্ত হন। পরের দিন তিনি প্রথম ডোজের জন্য হাসপাতালে যান, কিন্তু প্রতিষেধক না পেয়ে বাইরের ফার্মেসী থেকে কিনতে বাধ্য হন। দ্বিতীয় ডোজের জন্য ফিরে গেলে হাসপাতাল থেকে জানানো হয় যে সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। শেষ পর্যন্ত বাইরের ফার্মেসীতেও জলাতঙ্কের প্রতিষেধক না পেয়ে তিনি ভীষণ আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।
এ ধরনের সমস্যায় রয়েছেন জীবননগর উপজেলার হোসেন আলীসহ শতাধিক রোগী। ভাংবাড়িয়া গ্রামের রত্না খাতুন বলেন, হাসপাতাল থেকে প্রতিষেধক না পেয়ে তিনি ও তার তিন বন্ধু মিলে ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে গিয়ে টিকা কিনতে বাধ্য হয়েছেন।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. ওয়াহিদ মাহমুদ রবিন জানান, গত এক সপ্তাহ ধরে জলাতঙ্ক এবং সাপে কামড়ানোর এন্টিস্নেকভেনমের সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। তারা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার অবহিত করেছেন, কিন্তু এখন পর্যন্ত সাপ্লাই পাওয়া যায়নি। তবে আশাবাদী যে অচিরেই সমস্যার সমাধান হবে।