ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত সরাসরি ট্রেন চলাচল শুরু হলে বঞ্চিত হবে চুয়াডাঙ্গার জনগন!
ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে যশোর পর্যন্ত সরাসরি ট্রেন চলাচল শুরু হতে পারে আগামী নভেম্বর মাসের মাঝামাঝিতে। চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পের কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার কথা রয়েছে, এবং এর মাধ্যমে প্রকল্প ব্যয় ১ হাজার ৮৪৪ কোটি টাকারও বেশি কমবে।
এদিকে, এই নতুন রেল যোগাযোগ চালু হলে খুলনা থেকে চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া, রাজবাড়ী ও ভাঙ্গা হয়ে চলাচল করা আন্তঃনগর ট্রেন সুন্দরবন এক্সপ্রেস এবং বেনাপোল এক্সপ্রেস বন্ধ হয়ে যাবে। একই সঙ্গে খুলনা থেকে চুয়াডাঙ্গা-ঈশ^রদী হয়ে ঢাকাগামী চিত্রা এক্সপ্রেসও বন্ধ হবে, ফলে চুয়াডাঙ্গা-দর্শনার মানুষের জন্য এই ট্রেনগুলো অমিল হয়ে যাবে।
গত ২৫ মে রেলওয়ে (পশ্চিমাঞ্চল) থেকে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ঢাকা থেকে চুয়াডাঙ্গার দর্শনা পর্যন্ত সরাসরি ট্রেন চলাচলের কথা বলা হয়েছিল। তবে জনবলের অভাব ও ইঞ্জিনের সংকটের কারণে তা কতটা সম্ভব হবে, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন রেলের কর্মকর্তারা।
পদ্মা সেতুর রেলসংযোগ প্রকল্পের আওতায় ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত ১৬৯ কিলোমিটার নতুন রেলপথ নির্মাণ করা হচ্ছে। নতুন রেলপথ চালু হলে প্রতিদিন ২৪ জোড়া বা ৪৮টি যাত্রী ও মালবাহী ট্রেন চলাচল করতে পারবে। বর্তমানে এই পথে ১০টি যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল করছে, তবে মালবাহী ট্রেন এখনও চালু হয়নি।
ঢাকা থেকে যশোর হয়ে বেনাপোল পর্যন্ত বেনাপোল এক্সপ্রেস এবং ঢাকা থেকে খুলনা রুটের সুন্দরবন এক্সপ্রেসের ট্রিপ বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে। বর্তমানে ঢাকা থেকে খুলনার দূরত্ব ৪১২.৪০ কিলোমিটার, যা অতিক্রম করতে সময় লাগে ১০ ঘণ্টা। প্রকল্পটির বাস্তবায়নের ফলে সময় কমবে ৬ ঘণ্টা ৩০ মিনিট।
নতুন ১৯৮.৯০ কিলোমিটার রেলপথ চালু হলে ঢাকা থেকে যশোর হয়ে বেনাপোল পর্যন্ত ভ্রমণের সময় ৪ ঘণ্টা ৪৫ মিনিট কমবে। বর্তমানে ৩৫৬.৪০ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করতে ৮ ঘণ্টা লাগে, যা নতুন রেলপথে মাত্র সোয়া ৩ ঘণ্টায় সম্পন্ন হবে।