ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তোফাজ্জল নামে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা!
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হলে চোর সন্দেহে তোফাজ্জল নামে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। বুধবার রাত ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। রাত ৮টার দিকে হলের শিক্ষার্থীরা তাকে আটক করে। প্রথম দফায় গণপিটুনির পর তোফাজ্জলকে হলের ক্যান্টিনে খেতে দেওয়া হয়। ফেসবুকে তার খাওয়ার ছবি পোস্ট করে বলা হয়, "হলের খাবারের স্বাদ তার ভালো লেগেছে।"
তবে, খাওয়ার পর দ্বিতীয় দফায় তাকে আবার পিটানো হয়। রাত ১০টার দিকে হলের হাউস টিউটররা ঘটনাস্থলে গেলে তোফাজ্জলের অবস্থার অবনতি ঘটে। তাকে রাত ১২টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তোফাজ্জলের বয়স ৩০ বছর ছিল এবং তিনি প্রেম সংক্রান্ত সমস্যার কারণে মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন। তিনি বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার কাঠালতলী ইউনিয়নের ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ছিলেন।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরিফুজ্জামান আল ইমরান তার ফেসবুক পেজে তোফাজ্জলের জীবন ও তার মানসিক অবস্থার বিষয়ে বিস্তারিত জানান। তিনি বলেন, তোফাজ্জল একজন স্বজ্জন ও নেতৃত্বগুণ সম্পন্ন ছাত্রনেতা ছিলেন, কিন্তু ব্যক্তিগত জীবনের সমস্যার কারণে তিনি মানসিক ভারসাম্য হারান।
প্রক্টর অধ্যাপক ড. সাইফুদ্দিন আহমেদ বলেছেন, "কেউ চুরি করতে এলেও তাকে পিটিয়ে মেরে ফেলার অধিকার কারও নেই। আমরা সিসিটিভি ও অন্যান্য ফুটেজ দেখে জড়িতদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনব।"