নিমগ্ন পাঠাগারে এয়াকুব আলী চৌধুরীর জীবন ও সাহিত্য
আলমডাঙ্গার নিমগ্ন পাঠাগারে ‘এয়াকুব আলী চৌধুরী’র জীবন ও সাহিত্য’ বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল ১৫ ডিসেম্বর আসরের নামাজ শেষে মাওলানা আব্দুর রশীদের কুরআন কারীম তিলাওয়াতের মাধ্যমে সেমিনামের শুরু হয়। এরপর মাওলানা ইমদাদুল হক এয়াকুব আলী চৌধুরীর সংক্ষিপ্ত জীবনী আলোচনা করেন । মাওলানা হোসাইন আহমাদ লেখকের সাহিত্যের উপর মূল্যায়ন পেশ করেন।
তারপর আলোচনা করেন কাজল আহমেদ এবং নাদিউজ্জামান খান রিজভী। এয়াকুব আলী চৌধুরীর কবিতা পাঠ করেন মোহাম্মদ শারজিল হাসান।
আলোচনাসভায় অন্যানের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন মুফতি মাহদি হাসান, প্রভাষক মফিজুর রহমান, মাওলানা আব্দুর রশিদ মিল্টন, মাওলানা মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ, মুজাহিদ, সোহেল রানা, মুশফিক তরফদার, মেহেদী হাসান স্মরণ, বেলায়েত হোসেন বিপু, তানফিজুর রহমান পল্লব, আবু শুয়াইব শিমুল, সাদিব আল মাহমুদ প্রান্ত, আফনাব আহমেদ নাহিয়ান, মোঃ হানিফুজ্জামান, মীর মিনহাজুল আবেদীন আফ্রিদিসহ আরও অনেকে।
সাহিত্যিক এয়াকুব আলী চৌধুরী ১৮৮৮ সালে তৎকালীন ফরিদপুর জেলার মাগুরাডাঙ্গা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৪০ সালের ১৫ ডিসেম্বর মৃত্যুবরণ করেন। ৫২ বছরের জীবনে তিনি সাহিত্য চর্চা করেছেন ১৬ বছর। শারীরিক অসুস্থতা, আর্থিক টানাপোড়েন, পারিবারিক দুর্দশায় লিখতে পেরেছেন খুবই কম। ধর্মের কাহিনী (১৯১৪), নূরনবী (১৯১৮), শান্তিধারা (১৯১৯), মানব মুকুট (১৯২২) এই চারটি বই তাঁর প্রকাশিত হয়েছিল। এছাড়া কিছু অগ্রন্থিত লেখাও আছে। তাঁর লেখালেখির উপজীব্য ইসলাম।