২৫ বছর পর পুনরুজ্জীবিত হল রহিম বকস ও শফিউল ইসলামের হত্যা মামলা
আলমডাঙ্গা উপজেলার রায়সা গ্রামে ২৫ বছর আগে রহিম বকস ও তাঁর ছেলে শফিউল ইসলামকে হত্যার ঘটনায় আদালতে নতুন মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহত শফিউল ইসলামের ছেলে এস এ হৃদয় ২৪ অক্টোবর, বৃহস্পতিবার আলমডাঙ্গা থানা আমলী আদালতে ফাতেমা ক্লিনিকের মালিক মঞ্জু ও মধুপুরের বাবলুর রহমানসহ অজ্ঞাতনামা ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করে মামলা করেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী খন্দকার অহিদুল আলম জানান, আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট লাভলী নাজনীন অভিযোগটি গ্রহণ করে। তিনি তদন্তের নির্দেশ দিয়ে সাক্ষীদের জবানবন্দী রেকর্ড করতে বলেন এবং পিবিআই ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে ২৬ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার উল্লেখিত আসামি দুজন হলেন আলমডাঙ্গা উপজেলার খেজুরতলা গ্রামের মৃত গঞ্জের আলীর ছেলে মঞ্জুর আলী (৫২) এবং মধুপুর গ্রামের তোরাব আলীর ছেলে বাবলুর রহমান (৫০)। মঞ্জুর আলী দীর্ঘ সময় ধরে আলমডাঙ্গা শহরে বসবাস করেন এবং ফাতেমা ক্লিনিকের মালিক হিসেবে পরিচিত।
১৯৯৯ সালের ১৬ জানুয়ারি এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটে। এজাহারে বাদী উল্লেখ করেছেন যে, আসামিরা চরমপন্থী দলের সদস্য। শফিউল ইসলাম ছিলেন রায়সা জামে মসজিদের ইমাম এবং তাঁর বাবা রহিম বকস এলাকার একটি সামাজিক ব্যক্তিত্ব। আসামিরা ঘটনার কয়েক মাস আগে বাবা–ছেলের কাছে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে ১৬ জানুয়ারি রাতে তাঁকে বাড়িতে নিয়ে গিয়ে হত্যা করা হয়। রহিম বকস এগিয়ে এলে তাকেও হত্যা করা হয়।
এ ঘটনায় এস এ হৃদয় তখন মাত্র ১০ বছরের শিশু ছিলেন এবং নিজ চোখে পিতা ও দাদার হত্যাকাণ্ড প্রত্যক্ষ করেছিলেন। এতদিন মামলা করতে সাহস পাননি বলে জানান তিনি, বর্তমানে দেশে সেনাবাহিনী নিয়োজিত থাকায় তিনি বিচারের আশায় মামলা করেছেন।
মানবতা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক অ্যাডভোকেট মানি খন্দকার জানান, তাঁরা বাদীকে আইনি সহায়তা প্রদান করবেন এবং ন্যায়বিচারের জন্য লড়াই করবেন।